জাপানের কবি মারি কাশিওয়াগি’র কবিতা
মারি কাশিওয়াগির জন্ম জার্মানিতে। ১৯৭০ সালে। ছ’মাস বয়স থেকে সপরিবারে জাপানে। বর্তমানে টোকিও শহরে থাকেন। প্রথম কবিতার বই— ‘মিউজ়িক, অফ ডেজ়’ (২০০০)। দ্বিতীয় বই ‘নেকটার’স রুট অ্যাজ় ফার অ্যাজ় ইটস রেজ়োন্যান্স রিচেস’ (এপ্রিল, ২০০৮)।
তাঁর কবিতায় প্রথমেই যা পাঠকের নজরে আসে তা হল, বহুল পরিমাণে সাদা জায়গা। শূন্যস্থান ও স্পেস। অধিকাংশ কবিতাই একটা উল্লম্ব রেখার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। অনেকটা জাপানি হাইকু বা তাঁকা’র (Tanka) মতো অল্প কিছু শব্দ ছড়িয়ে আছে পাতায়। কাশিওয়াগির কবিতায় ভিস্যুয়াল এফেক্ট অনেকটা কম্পিউটারে ছবি স্ক্রল করে দেখার মতো। শব্দ (word) এবং চিত্র (image)— দুটিতেই তাঁর আগ্রহ। এবং, এই দুই ভিন্ন মাধ্যমের মিশ্রণে। পরীক্ষামূলক কবিতাচর্চায় তাঁর সমসাময়িকদের মধ্যে মারি কাশিওয়াগি সামনের সারিতে রয়েছেন। কবিতায় তিনি নিজের নগ্ন, দাঁড়িয়ে থাকা ফটোগ্রাফ দেখতে চান, যেভাবে সাদা পাতায় তাঁর কবিতা দাঁড়িয়ে থাকে, উল্লম্ব।
কাশিওয়াগি প্রাচ্য শিল্প-কলার ছাত্রী। এবং একজন যাদুঘর বিশারদ। বর্তমানে চিত্রসংগ্রহশালা ও যাদুঘরের কিউরেটর পদে নিযুক্ত।
অ নু র ণ ন
১.
পীযূষ
ততদূর
অবধি
যতখানি
তার
ঘ্রাণের
নাগাল
২.
বেড়ে
উঠছে
আপেল
টুকরো হতে
কেননা
অমৃত
উথলে উঠছে
কোথাও
৩.
দোলনে ছুঁয়েছে তাকে
পীযূষ
বলেছে
আমাকে
৫.
রসের গায়ে রস লেগেছে
দুজনে দুজনকে
ঠেলছে
একটা গানের দিকে
৭.
ভিতর থেকে
ভোলার জন্য
ফুলটি
বাইরে
অবাধ
১০.
ঘুমিয়ে থাকা পীযূষ
আপেলের ভেতরে অতি সতর্ক পায়ে
একটি ছোট নদী
১১.
বৃষ্টির
হৃৎপিণ্ডের ভেতরে
অমৃত
ঢুকে বসে
যাতে সে
মর্ত্য পায়
১২.
বাহুমূল
শুধু
পুলকে
প্রসারিত
নয়
১৪.
একা একা
দাঁড়িয়ে
থাকা
যায় না
পীযূষে
ঝুঁকেছি
১৫.
ফেলে আসার
দিকে
তাকিয়ে
ফুল
ফোটে
রেণুপরাগ
স্থাপনে
১৬.
অনেক অনেক দূরে
রেতস হল
মানে
ফুলেরা আসছে
২৩.
হাত
একটিবার
দ্বিধায় কেঁপেছে
ছুঁতে
যখন ফুল
এইমাত্র জন্মাবে
২৬.
চলে গেছে
কিন্তু তার অনুরূপ নাদ রেখে গেছে
ফুলেদের চূড়ায় চূড়ায়
২৯.
দেখো, ঠিক গেয়ে উঠব
এমনকি যদি না-ও থাকি